১ টা বাটিতে ছোট চায়ের কাপের ২ কাপ বেসন নিলাম, এটার মধ্যে ২ চা চামচ সুজি, ২ চা চামচ চিনি, ১/২ চামচ নুন, ১/৪ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চিমটে খাবার সোডা, বড় কাপের ১ কাপ জল দিয়ে সেটা ভালো করে মাখলাম। (মনে রাখতে হবে জন মিশ্রণ তা একটু পাতলা হয়, বেশি ঘন না হয়ে যায়।)

মিশ্রণটি ঢাকা দিয়ে রাখলাম। এরপর একটা কুকারের মধ্যে সামান্য জল নিলাম (জল তা এমন পরিমানে নিলাম যাতে ওর ওপর একটা খাবার রাখার স্ট্যান্ড বসলে সেটা ডুবে না যায় পুরোটা),জলের মধ্যে একটি নুন দিয়ে দিলাম যাতে জলটা তাড়াতাড়ি ফুটে যায়। এরপর জলটা ফুটতে শুরু করলে ওর মধ্যে একটা খাবার রাখার স্ট্যান্ড রাখলাম যেটার ওপর ধোকলার মিশ্রনের বাটিটা বসাবো।

এরপর একটা বাটিতে একটু তেল নিয়ে পুরো বাটিতে লাগিয়ে নেব, এরপর যে মিশ্রণটি বানিয়ে রেখেছিলাম সেটাতে একটা প্যাকেট ENO দিয়ে সেটা একটু মিশিয়ে দিতেই দেখা যাবে মিশ্রণটি ফুলে উঠেছে তখন সেটাকে তেল মাখানো বাটিটায় ঢেলে নেব (বাতিটা নারিয়ে একটু ঠিক করে নেব যাতে ঠিক মতো সেট হয়ে যায় মিশ্রণ টা), এরপর ওই বাটিটা কুকারের মধ্যে রাখা স্ট্যান্ড তাই বসিয়ে দিলাম।

এরপর কুকারের সিটিটা খুলে ঢাকাটা আটকে দিলাম । ১৫ মিনিট পর ঢাকাটা খুলে একটা কাঠি ঢুকিয়ে দেখতে হবে কাঠিতে লেগে যাচ্ছে কিনে ধোকলার মিশ্রণটা লেগে যাচ্ছে কিনা, যদি না লাগে তাহলে বাতিটা সাঁড়াশি দিয়ে বের করে নেব, আর যদি লেগে যায় তাহলে আর ৫ মিনিট হতে দেব ঢাকাটা বন্ধ করে, তারপর ৫ মিনিট পর বাটি তা বের করে নিয়ে ১০ মিনিট ঠান্ডা করতে দেব।

এরপর একটা কড়াইতে ১ ১/২ চা চামচ তেল নিয়ে সেটা গরম হয়ে গেলে তাতে ১২-১৫ টা সর্ষে, ৮-১০ টা কারিপাতা, ৪ টে লঙ্কা দিয়ে একটু ভেজে নেব, একটু ভাজা হয়ে গেলে সেটাতে ১ কাপ জল দিয়ে দেব, এরপর একেএকে ৩-৪ চা চামচ চিনি, ১/২ চা চামচ নুন দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেব।

এরপর ধোকলার বাতিটা নিয়ে একটা ছুঁড়ি দিয়ে বাটির গা ট্যেকে ধোকলাটা ছাড়িয়ে নিয়ে বাতিটা একটা থালার ওপর সাবধানে উপুড় করে ধোকলা তা থালায় নিয়ে নেব (দেখতে হবে যাতে ভেঙে না যায়), তারপর ছুঁড়ি দিয়ে কেটে টুকরো করে নেব।

এরপর যে সিরাপটা বানিয়েছিলাম সেটা ধোকলার ওপর দিয়ে ঢেলে দেব।

তাহলেই সম্পূর্ণ হলো এনাদের ধোকলার রেসিপি। এবার এটা চাটনির সাথে পরিবেশন করবো।