আলু ভালো করে ধুয়ে নিন। শ্রেডার ব্যবহার করে আলু এক এক করে গ্রেইডেড করে নিন।

আলু গ্রেইডেড হয়ে গেলে, অবিলম্বে তা জল ভর্তি একটি পাত্রে স্থানান্তর করুন। কারণ আপনি যদি আলু যেমন আছে তেমন ভাবেই ছেড়ে দেন তাহলে তা লাল হয়ে যাবে। আলু জলে ভিজিয়ে রাখলে আলু থেকে আসা অতিরিক্ত স্টার্চ ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাকি আলু গ্রেইডেড করুন। জলে আলু ভিজিয়ে রাখতে থাকুন। এবার একটি ছাঁকনি নিন এবং আলু গুলিকে ছেঁকে নিন এবং জল ফেলে দিন।

নল প্রবাহিত জলের নীচে ১ মিনিট বা জল পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আলু ধুয়ে ফেলুন। এরপর একটি পাত্রে পরিষ্কার জল নিয়ে আলু ভিজিয়ে রাখুন।

আলু থেকে স্টার্চ সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অন্যথায় আপনি দলাপাঁকানো আলু ভাজা পাবেন, যা আলুকে ঝড় ঝরে ভাজা হতে দেয়না। 

এখন একটি প্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল গরম করুন যতক্ষণ না তেল থেকে ধোঁয়া বের হয়।

কারি পাতার ডিপ ফ্রাই করুন। প্যান থেকে ভাজা কারি পাতা ছেঁকে নিয়ে টিস্যু পেপারে উপর রাখুন।

এবার একই তেলে চিনাবাদাম ভাজুন। প্যান থেকে ভাজা চিনাবাদাম ছেঁকে একটি টিস্যু পেপারের উপর রাখুন।

এখন ৪-৫ টি শুকনো লাল লঙ্কা নিন এবং ৩০ সেকেন্ডের জন্য তা ভাজুন। লঙ্কা বেশি ভাজবেন না। প্যান থেকে ছেঁকে তা টিস্যু পেপারের উপর রাখুন।

এবার আলু ভাজতে শুরু করুন। অল্প অল্প করে আলু ভাজতে হবে। প্রত্যেক বার আলু ভাজতে প্রায় ২ মিনিট সময় লাগবে। আলু ভাজা হয়ে গেলে আলু গঠন এবং রঙ পরিবর্তন হবে। এরপর প্যান থেকে ভাজা আলু ছেঁকে তা টিস্যু পেপারের উপর রাখুন।

মনে রাখবেন আলু ভাজার সময় লবণ ব্যবহার করবেন না। তাতে আলু ভাজা কে নরম করে দেয়। 

একটি পাত্রে লবণ, রক সল্ট, চাট মসলা এবং লাল লঙ্কা গুঁড়ো নিন এবং মশলা-মিশ্রণ তৈরি করুন।

এরপর কাড়িপাতা, বাদাম, ভাজা লাল লঙ্কা এবং মশলা-মিশ্রণ এক সাথে আলু ভাজার সাথে টস করে প্ররিবেশন করুন।

আপনি চাইলে এই আলু ঝুড়ি ভাজাটি একটি পাত্রে (বিশেষত বায়ুরোধী পাত্রে) ৭ দিনের বেশি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। অথবা একই দিনে খাওয়ার পরেও, ভাজা আলুগুলিকে একটি পাত্রে স্থানান্তর করুন যাতে এটি যেমন আছে তেমনই থাকে এবং পরে খাওয়া যায়।