প্রথমে মাছের মাথা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর সব উপকরণগুলো একত্রে করে নিলে রান্না করতে সুবিধা হবে। আমি করে নিয়েছি। এবার মাছের মাথাতে নুন, হলুদ এবং কাশ্মীরি লাল লঙ্কাগুঁড়ো মাখিয়ে নিয়ে ১০ মিনিট মত রেখে দিতে হবে।

গোবিন্দভোগ চাল ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। এর জায়গায় বাসমতী চাল ব্যবহার করলে ৩০ মিনিট মত ভিজিয়ে রাখতে হবে। গোবিন্দভোগ চাল ভিজিয়ে রাখার প্রয়োজন হয় না।গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে মুড়ি ঘন্ট বেশী ভালো লাগে।তারপর অল্প ঘিতে একটু ভেজে নিতে হবে। এতে করে চালটা ঝরঝরে থাকে। আর ঘিতে ভাজলে গন্ধটাও ভালো আসে। ভাজা হলে একটা পাত্রে তুলে নিতে হবে।

এবার সর্ষের তেলে মাছের মাথা এপিঠ ওপিঠ করে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। তারপর আলুতে নুন, হলুদ মাখিয়ে অল্প ভেজে নিতে হবে।

এবার আলু একটা পাত্রে তুলে নিয়ে তেলে গোটা জিরে এবং গোটা গরম মশলা দিয়ে দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে যখন একটা সুন্দর গন্ধ বেরোবে তখন পেঁয়াজগুলো দিয়ে ভাজতে হবে।

পেঁয়াজে যখন অল্প লাল রং ধরবে তখন এতে আদা এবং রসুন বাটা দিয়ে এর কাচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত কষাতে হবে। তারপর এতে এক এক করে গুঁড়ো মশলাগুলো দিতে হবে। প্রথমে জিরে দিয়েছি।

তারপর একে একে ধনে, হলুদ এবং কাশ্মীরি লাল লঙ্কাগুঁড়ো দিয়েছি।

তারপর ভালো করে কষাতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল ছেড়ে যাচ্ছে। তারপর এতে ভেজে রাখা আলুর টুকরোগুলো দিয়ে দিতে হবে।

এবার আলুর টুকরোগুলোকে মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর ভেজে রাখা চালটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।

এবার দু কাপ জল দিয়ে এবং স্বাদমতো নুন মিশিয়ে ১০ মিনিট লো মিডিয়াম আঁচে ফুটতে দিতে হবে।

১০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে গরম মশলা, চিনি এবং ঘি মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর কাঁচালঙ্কাগুলো চিরে দিয়ে দিতে হবে এবং আরো এক কাপ জল মিশিয়ে লো আঁচে ৪ মিনিট মতো ফুটতে দিতে হবে যাতে ঘি, গরম মশলা এবং লঙ্কার ফ্লেভার রান্নায় বসে যায়; আর চাল, আলু সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয়ে যায়। এবার ঢাকনা সরিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করে দিন গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে সুস্বাদু মুড়ি ঘন্ট।