24 ঘন্টা বা তার বেশী চাল আর ডাল ভালো করে ধুয়ে আলাদা আলাদা করে ভিজিয়ে রাখতে হবে জলে

চাল ডাল আলাদা করে বাটতে হবে একদম স্মুথ করে।

রাতে যদি ধোসা তৈরী করতে হয়,তাহলে একদম সকালেই চাল ডাল বেটে রাখতে হবে।কোনভাবেই ফ্রিজে রাখা চলবে না।তাহলে ব্যাটার ফাঁপবে না

চালবাটা আর ডাল বাটা একসাথে মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে রাখতে হবে।

এবারে ধোসার ভেতরে দেবার পুর তৈরী করতে হবে।

কড়াইতে অল্প সাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজ,কারীপাতা,কাঁচা লঙ্কা ভেজে নিয়ে তাতে আলু সেদ্ধ ম্যাস করে দিতে হবে

এর মধ্যে পুরের বাকী উপকরণ দিয়ে নেড়ে নেড়ে শুকনো একটা তরকারী তৈরী করতে হবে।

এবারে সম্বার তৈরীর জন্যে মটর ডাল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে

প্রেসার কুকারে তেল গরম করে তাতে ফোরণ দিতে হবে।ফোরণ ভাজা হলে তাতে পরিমান মত জল,সম্বারের জন্যে কেটে রাখা সবজী,ডাল,নুন হলুদ, আদা বাটা দিয়ে স্টিম করতে হবে।ডাল সেদ্ধ হলেই নামিয়ে নিতে হবে

এবারে চাটনী তৈরী করতে হবে

নারকোলের শাঁস পেস্ট জরে নিতে হবে

বাদাম আর ছোলার ডাল পেস্ট করে নিতে হবে

কড়াইতে সাদা তেল গরম করে ফোরণ দিতে হবে

ফোরণের সুন্দর ভাজা গন্ধ ছাড়লে এতে সমস্ত (নারকোল,বাদাম,ছোলার ডাল) বাটা দিতে হবে এবং সামান্য জল দিতে হবে

একটু ফুটতে শুরু করলেই এতে পরিমান মত নুন ও চিনি দিতে হবে

সমানে নাড়তে হবে,যাতে তলা ধরে না যায়

ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে

ব্যাটার ফেঁপে ফুলে উঠলে এবারে ধোসা তৈরী করতে হবে

ব্যাটার ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে, প্রয়োজনে সামান্য জল মেশাতে হবে।ব্যাটার খুব ঘন হবে না

একটা জায়গাতে জলে নুন গুলে নিতে হবে

তাওয়া খুব গরম করে নিতে হবে।নাহলেই ব্যাটার তাওয়াতে আটকে যাবে।

গরম হয়ে গেলে তাওয়া একটা টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নিতে হবে।

তাওয়াতে নুন জলের ছিটে দিতে হবে

(প্রতিটা ধোসার ব্যাটার দেওয়ার আগে তাওয়া মুছে নুন জলের ছিটে দিলে ধোসা সুন্দর ভাবে তাওয়া থেকে উঠে আসবে নিজেই।না হলে আটকে যেতে পারে)

এক হাতা করে ধোসার ব্যাটার দিতে হবে তাওয়ার মাঝখানে

হাতার পিছন বা একটা ছোট বাটির পিছন দিয়ে গোল গোল করে ঘুড়িয়ে ব্যাটার ছড়িয়ে দিতে হবে তাওয়ার ধার পর্যন্ত।

এই কাজটা খুব চটপট করে ফেলতে হবে ব্যাটার তাওয়াতে দেওয়া মাত্র ছড়িয়ে দিতে হবে তাওয়াতে পাতলা করে

এবারে ছড়ানো ব্যাটারের উপরে ও ধার দিয়ে দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা তেল ছড়িয়ে দিতে হবে

ধোসা তৈরী হয়ে গেলে তাওয়া থেকে দেখা যাবে আপনা আপনি ছাড়তে শুরু করেছে

এবারে এর মাঝখান করে পুর দিতে হবে

এর পরে পাতলা খুন্তির সাহায্যে পাটিসাপটা র মত পাট করে তুলে নিতে হবে। তৈরী হয়ে গেল ধোসা

সাম্বার ডাল ও বাদাম নারকোলের তৈরী করে রাখা চাটনি র সাথে পরিবেশন করতে হবে গরম গরম ধোসা