সজনের ডাঁটা গুলো জলে ধুয়ে আঁশ ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা আঙুলের মতো করে কেটে নিতে হবে।মিষ্টি কুমড়ো ও আলুগুলো খোসা ছাড়িয়ে জলে ধুয়ে কেটে নিতে হবে কিউব আকারে একটু বড় বড় টুকরো করে।অবশ্যই সামঞ্জস্য থাকবে এই তিনটি সবজির শেপের মধ্যে, যাতে এরা একসঙ্গেই সেদ্ধ হয়ে যেতে পারে।

কড়াই এ তিন পলা সর্ষের তেল দিয়ে গ্যাসে বসিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হলে ফোড়ন দিতে হবে শুকনোলঙ্কা ও পাঁচফোড়ন।গন্ধ বেরিয়ে গেলে গ্যাসের পাওয়ার কমিয়ে ছেড়ে দিতে হবে কেটে রাখা সবজিগুলো।এবারে এগুলো একটু ভেজে নিতে হবে গ্যাসের পাওয়ার মিডিয়ামে রেখে।মাঝেমাঝেই নেড়ে দিতে হবে।সব্জিগুলোর হালকা রঙ চেঞ্জ হলেই টমেটো কুচি ও দুটো কাঁচালঙ্কা চিরে দিতে হবে এর মধ্যে।

খুন্তি দিয়ে সব মিশিয়ে নিয়ে ঢেকে দিতে হবে কড়াই দু মিনিটের জন্য।এবারে ঢাকা খুলে পরিমান মতো নুন ও হলুদ দিয়ে আবারও ঢাকা চাপা দিতে হবে।গ্যাসের পাওয়ার থাকবে সিমে।সাত-আট মিনিটের মাথায় ঢাকা খুলে দেখে নিতে হবে সবজি সব সেদ্ধ হয়েছে কিনা!নাহলে আরও দুই থেকে পাঁচ মিনিট বেশি রাখতে হবে ঢাকা দিয়ে।

এবারে তরকারি টা ভালো করে উপর-নীচ করে নেড়ে নিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে সর্ষে-৩টে কাঁচালঙ্কা দিয়ে বাটা ও একটু শুকনোলঙ্কার গুঁড়ো।বাটি ধোয়া জলও দিতে হবে সামান্য।এবারে গ্যাসের পাওয়ার বাড়িয়ে ফুটতে দিতে হবে এই মশলা সমেত সবজিকে।সামান্য চিনি দিতে হবে এই সময়।ফুটতে ফুটতে যখন জল কমে যাবে ও চচ্চড়িতে বেশ সুন্দর একটা মাখো মাখো ভাব আসবে তখন গ্যাসের পাওয়ার অফ করে দিয়ে দু পলা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিতে হবে উপর দিয়ে।

পাঁচ মিনিটের জন্য আবার ঢাকা দিয়ে রেখে তারপরে একটি ডিশে ঢেলে রাখতে হবে এই সজনে ডাঁটার চচ্চড়ি।যথা সময়ে পরিবেশন করলেই হল; ঠান্ডা,গরম যে কোনো অবস্থাতেই ভালো লাগে এই চচ্চড়ি।