প্রথমেই চিংড়ি মাছ গুলো‌ পছন্দমতো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে পানি ঝরিয়ে নিবো এবং মাছ গুলো তে সামান্য হলুদ গুড়া মাখিয়ে একটি ফ্রাইপ্যানে। সামান্য সরিষার তেল গরম করে হালকা ভাবে ভেজে নিবো। চিংড়ি মাছ বেশি ভাজলে শক্ত হয়ে যায়,তাই ৫ মিনিট ভাজলেই যথেষ্ট।ভাজা হয়ে গেলে মাছ গুলো তুলে অন্য পাত্রে রেখে দিবো।

এবারে যে কড়াইতে চিংড়ি ভাজলাম,সেই কড়াইতে আবারো পরিমাণ মতো সরিষার তেল গরম করে তাতে সামান্য কালোজিরা ফোরাম দিবো। ১টা পেঁয়াজ এর পেস্ট পুরোটা দিয়ে দিবো, এবং ভেজে নিবো, পেঁয়াজ বাটা ভাজার সময় যাতে তেল না ছিটকায় সেজন্য সামান্য লবণ দিয়ে দিবো পেঁয়াজ বাটায়। এবং চুলার আঁচ কমিয়ে রাখবো।

পেঁয়াজ বাটার সাথে হলুদ গুড়া,লাল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।এবং এরসাথে আদা রসুন বাটা,জিরা বাটা, কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে সব একটু ভেজে নিবো।সব ভাজা হয়ে গেলে এর সাথে টমেটো বাটা টা দিয়ে নেড়ে সব মিশিয়ে নিবো।

এবারে এই মসলার মিশ্রণের সাথে নারকেল বাটা টা দিয়ে দিবো এবং অনবরত নেড়েচেড়ে ভেজে নিবো সব একসাথে। একটা নারকেলের অর্ধেক টা বেটে নিয়েছিলাম।প্রথমে নারকেল কুরিয়ে নিয়ে তারপর ব্লেন্ডারে কোরানো নারকেল ব্লেন্ড করে পেষ্ট তৈরি করে নিয়েছিলাম।সেটা দিয়েই এই নারকেল চিংড়ির আয়োজন করেছি।তাজা নারকেল বাটা নাহলে এই রান্নার আসল স্বাদ পাওয়া যায়না,তাই চেষ্টা করতে হবে ফ্রেশ নারকেল বাটা ব্যবহার করতে।

এবারে এই মসলার মিশ্রণের সাথে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে অনবরত নেড়েচেড়ে ৫ মিনিট সব একসাথে ভেজে নিবো। কাঁচামরিচ ফালি গুলো দিয়ে দিবো, এবং পরিমাণ মতো পানি দিবো।পানি এই পরিমাণে দিবো রাতে চিংড়ি মাছ গুলো ডুবে থাকে।এরপর ঢাকনা দিয়ে লো মিডিয়াম আঁচে চিংড়ি রান্না করবো ১০-১৫ মিনিট।এরপর ঢাকনা তুলে আরেকটু নেড়ে সব মিশিয়ে একটু মাখামাখা করে নামিয়ে নিবো।

এরপর এই স্পেশাল ভীষণ প্রিয় নারকেল চিংড়ি দুপুরের আহারে সাদা ভাত বা পোলাও এর সাথে গরম গরম সার্ভ করবো।এরসাথে সাইড ডিশ হিসেবে কোন সবজি থাকতেই পারে।
তবে নারকেল চিংড়ি হলে ভাতের সাথে আর কিছুই লাগেনা।
ধন্যবাদ।