তালের খোসা ছাড়িয়ে পাল্প বার করে নিতে হবে বেতের ঝুড়িতে ঘষে; তারপর ছাকুনিতে ছেঁকে নিতে হবে আঁশ গুলো বাদ দেওয়ার জন্য।আটা-ময়দা-সুজি চেলে নিতে হবে চালুনিতে।একটা বড় বাটিতে এবারে একে একে সমস্ত উপকরণ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে ভালো করে,শুধুমাত্র দুধ, ঘি পড়বে না তখনও।

একটা শুকনো মিশ্রণ তৈরি হবে এর ফলে।এটাকে এবারে দু কাপ দুধ দিয়ে এক ঘন তরল বানিয়ে নেব আমরা।প্রয়োজনে আরও দুধ মেশানো যেতে পারে।কম করে এক ঘন্টা একে ছেড়ে রাখবো সুজি ভিজে যাওয়ার জন্য।আমি অবশ্য আরেকটু বেশি সময় ধরে রেখেছি।

ছবিতে দেখানো হল কয়েক ঘন্টা রাখার পরের চেহারা।সামান্য দুধ ও ঘি মিশিয়ে আরেকটু পাতলা ব্যাটার বানিয়ে নিয়ে এবারে গ্যাস জ্বালিয়ে দিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল কড়াইএ দিয়ে।

অন্য ওভেনে সিরা বানিয়ে নিতে হবে এইসময়।চিনি-জল ফুটে উঠলে এলাচ দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। চিনি গলে যাওয়ার পর ৪-৫মিনিট ফোটালেই হয়ে যাবে মালপোয়ার সিরা তৈরি।পাতলা সিরা হবে।

তেল গরম হলে গ্যাসের পাওয়ার একদম লো তে রেখে হাতায় করে তুলে তালের এই ব্যাটারের কিয়দংশ দিতে হবে গরম তেলের মধ্যে।মিনিট খানেকের মধ্যেই ফুলে উপরে ভেসে উঠবে মালপোয়া।এক পিঠ ভাজা হলে উল্টে দিতে হবে অপর পিঠ।এইভাবে ভাজা যায় একসঙ্গে তিন-চারটে।গায়ে সোনালী রঙ ধরলে তুলে নিয়েই দিতে হবে গরম রসের মধ্যে ছেড়ে।

এক এক লট ভাজতে ৪-৫মিনিট সময় লাগবে।যখন অন্য লটের ভাজা তুলে রসে ফেলা হবে তখন আগের লটের সিরায় চুবিয়ে রাখা মালপোয়াগুলো তুলে নিয়ে রাখতে হবে একটা প্লেটের উপরে পরপর সাজিয়ে।এইভাবেই সব মালপোয়া ভেজে সিরায় এপিঠ-ওপিঠ করে চার-পাঁচ মিনিট চুবিয়ে রেখে তুলে নিলেই তৈরি আমাদের তালের রসালো মালপোয়া।

এটা রসে না চুবিয়ে শুধু ভাজা খেতেও দারুণ লাগে।আমি কিছু ভাজাও রেখেছি এজন্য।একবার খেলে কিন্তু বারবার খেতে ইচ্ছে করবে এ এমন এক মালপোয়া😋❤️তবে এর দেরি কেন বন্ধুরা!বানিয়ে ফেলো চটপট....

বিঃ দ্রঃ:-কাপের মাপ একটাই হবে সবার ক্ষেত্রে